সময় | যুগসমূহ | সন্ধিকাল ও প্রলয় | ব্রহ্মঋষি হারমিটেজ

সময়


Brahmarishis Hermitage Devatmananda Shamballa Rishis Siddhas Siddhar Sprituality Kalki Saptharishis Saptarishis
                    Divine Soul Guru Wisdom Positive Quotes

সৃজনকার্যে, 'সময়' ঈশ্বরের একটি শাশ্বত বৈশিষ্ট্য।

সময়ের আরেক নাম 'কালচক্র'। 'কাল' অর্থে সময় এবং 'চক্র' অর্থে চাকা। 'কালচক্র' প্রকৃতপক্ষে সময়ের বৃত্ত বা চক্রকে বোঝায়।

জ্যোতির সাম্রাজ্যে বা পরব্রহ্মলোকে সময়ের কোন অস্তিত্ব নেই। দিব্যজ্যোতি থেকে যখন সৃষ্টি উৎসারিত হল, তখন সেই প্রথম অবস্থায় তা ছিল ঘূর্ণায়মান ও বিবর্তনশীল কিছু শক্তিকণা। প্রত্যেক শক্তিকণাই নিজস্ব বৈশিষ্ট্যযুক্ত নক্সা অনুযায়ী বিবর্তিত ও ঘুর্ণিত হচ্ছিল এবং এই ঘূর্ণন ও বিবর্তন কোন্ কণার ক্ষেত্রে কত দ্রুত সম্পাদিত হচ্ছিল তার বৈচিত্র্যময়তা থেকেই সময়ের ধারণার উৎপত্তি।

এই সমস্ত শক্তিকণাগুলি একে অপরের কাছাকাছি এসে ভর এবং ঘনত্ব সংগ্রহ করে ধীরে ধীরে গ্রহ, উপগ্রহ, তারকা এবং নক্ষত্রপুঞ্জ সৃষ্টি করল। ফলস্বরূপ, সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে এক ঘূর্ণায়মান বৈশিষ্ট্য বর্তমান। সেদিক থেকে সময়ের ধারণাও আবর্তনশীল।

যুগসমূহ


সময়ের একক বলতে অনুসেকেন্ড থেকে লক্ষাধিক বছরের যাত্রাকে বোঝাতে পারে।

১ মন্বন্তর = ৭২ মহাযুগ

১ মহাযুগ = ৪ যুগ

সত্যযুগ = ২০,০০০বছর

ত্রেতাযুগ = ১৫,০০০বছর

দ্বাপরযুগ = ১০,০০০ বছর

কলিযুগ = ৫,০০০ বছর

সন্ধিকাল = ১,৮৪০ বছর

বর্তমানে, আমরা সকলে "বৈবস্বত মন্বন্তর" (Vaivaswatha Manvantara) নামক সপ্তম মন্বন্তরকালে ও ২৯তম মহাযুগে রয়েছি।

সন্ধিকাল ও প্রলয়


Brahmarishis Hermitage Devatmananda Shamballa Rishis Siddhas Siddhar Sprituality Kalki Saptharishis Saptarishis
                    Divine Soul Guru Wisdom Positive Quotes

সন্ধিকাল হল আর কিছুই নয়, কলিযুগ এবং সত্যযুগের মধ্যে সংযোগকারী প্রলয়-সেতু। সত্যযুগের আরেক নাম সুবর্ণযুগ বা নবযুগ। ২৮তম মহাযুগের কলিযুগ সমাপ্ত হয়েছে ১৯৭৪ সালের ১৪ই মার্চ।

এই সময় বিশ্বব্রহ্মাণ্ড থেকে প্রলয়শক্তি আমাদের পৃথিবীতে ঝরে পড়ছে যার মাধ্যমে সন্ধিকাল অতিবাহিত হচ্ছে।

প্রলয় হল রূপান্তরকরণের পদ্ধতি। এমনকি হাজার বছরের সঞ্চিত কর্মফল এই প্রলয়কালে পরিষ্কৃত হয়ে যেতে পারে, যদি আমরা সঠিকভাবে প্রলয়শক্তিকে আমাদের সাধনায় ব্যবহার করতে পারি। এ সময় আত্মিক পরিশুদ্ধি (Refinement) এবং পুনর্গঠনের জন্যই আমাদের মধ্যে বহুপ্রকারের মন্থন (Churning) ঘটে চলেছে।

আধ্যাত্মিক সূক্ষ্ম স্তরে ২০১২ সালের শেষের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ 'চৈতন্য -সঞ্চার' (shift in consciousness) সংঘটিত হয়েছে। আগামী বছরগুলিতে (২০২৩ ও পরবর্তী আগত বর্ষসমূহ) এই প্রলয় পদ্ধতি তার চরম সীমা স্পর্শ করবে। আগত বছরগুলিতে এই প্রলয়-রূপান্তর সংঘটিত হবে বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে, যার মধ্যে ব্যক্তিগত রূপান্তরের প্রক্রিয়াও সমান্তরালভাবে চলবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই, বিশেষত রাজনীতি এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এই প্রলয়-রূপান্তর সংঘটিত হবে।

প্রলয় পর্বের সমাপ্তি ঘটলে পুনর্গঠন শুরু হবে এবং পুরোনো পদ্ধতির পরিবর্তে আরও উন্নত পদ্ধতির প্রবর্তন হবে। এই প্রলয় পদ্ধতির উৎগাতা এবং সিদ্ধব্যক্তিত্ব হলেন মহাত্মা ঋষিগণ। বহু মন্বন্তরকালে তাঁদের উপরেই প্রলয় কার্যের ভার অর্পিত ছিল এবং তাঁরা সেই কাজ সংঘটিত করে এসেছেন। এই প্রলয়কালে তাঁরা সর্বদা আমাদের সঙ্গে আছেন এবং আমাদের সাহায্য করে চলেছেন। সপ্তঋষিগণ এই সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন এবং মানবাত্মাকে পরিচালনা করেন।

গভীরতর অন্ধকারের মধ্যেও লক্ষ করার বিষয় হল, আমাদের পৃথিবী ইতিমধ্যেই ৭০ শতাংশ সত্যযুগে অবতীর্ণ হয়ে গিয়েছে। মহাত্মা ঋষিগণ, সিদ্ধাগণ, যোগীগণ এবং বহু আলোকযোদ্ধাদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং নিষ্ঠার প্রতি আমাদের ঐকান্তিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি।

প্রলয় হল রূপান্তরকরণের পদ্ধতি। এমনকি হাজার বছরের সঞ্চিত কর্মফল এই প্রলয়কালে পরিষ্কৃত হয়ে যেতে পারে, যদি আমরা সঠিকভাবে প্রলয়শক্তিকে আমাদের সাধনায় ব্যবহার করতে পারি। এ সময় আত্মিক পরিশুদ্ধি (Refinement) এবং পুনর্গঠনের জন্যই আমাদের মধ্যে বহুপ্রকারের মন্থন (Churning) ঘটে চলেছে। গভীরতর অন্ধকারের মধ্যেও লক্ষ করার বিষয় হল, আমাদের পৃথিবী ইতিমধ্যেই ৭০ শতাংশ সত্যযুগে অবতীর্ণ হয়ে গিয়েছে। মহাত্মা ঋষিগণ, সিদ্ধাগণ, যোগীগণ এবং বহু আলোকযোদ্ধাদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং নিষ্ঠার প্রতি আমাদের ঐকান্তিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি।