ইতিবাচককরণ/শুভায়ন প্রক্রিয়া
শুভায়ন হল আমাদের জীবন থেকে প্রতিটি নেতিবাচক প্রভাবকে সচেতনভাবে ও নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে ইতিবাচক শক্তিতে রূপান্তরিত করার পদ্ধতি। এর মধ্যে দিয়ে নিঃস্বার্থ প্রেম, আনন্দ (bliss) এবং সম্প্রীতি প্রকাশিত হয়।
আমাদের তামসিক ও রাজসিক গুণকে সাত্ত্বিক গুণে পরিবর্তিত করাই শুভায়নের উদ্দেশ্য।
জীবনের প্রতি এবং জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একটি পরিণত দৃষ্টিভঙ্গি ধরে রাখতে ইতিবাচককরণ বা শুভায়ন প্রক্রিয়া আমাদের সাহায্য করে । এর মাধ্যমে সমস্ত প্রকার শুভত্ব প্রতিভাত হয় এবং আমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বকে ফুটিয়ে তোলে।
শুভায়ন কেবলমাত্র ইতিবাচক ভাবনা নয়, বরং দৈহিক, মানসিক এবং বৌদ্ধিক প্রতিটি স্তরে ইতিবাচক প্রয়াস নেওয়া। এর মাধ্যমে নেতিবাচক প্রভাবকে দূর করা এবং ইতিবাচক প্রবৃত্তিকে প্রতিস্থাপন করা, দুটি কাজই করা হয়।
পড়তে থাকুন ...ধ্যান এবং ইতিবাচকরণ বা শুভায়ন প্রক্রিয়া পরস্পর সম্পর্কযুক্ত- উভয়েই একে অন্যের সাহায্যকারী ও পরিপূরক। ধ্যান আমাদের ভিতরের শক্তি এবং ইচ্ছা প্রদান করে, যাতে আমরা শুভায়ন প্রক্রিয়াকে বজায় রাখতে পারি, বিশেষ করে যখন জীবন আমাদের পরীক্ষা নেয় এবং আমরা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে পার হই। অপরদিকে, শুভায়ন বা ইতিবাচককরণ প্রক্রিয়া আমাদের সাহায্য করে ধ্যানের গুণগতমানকে বাড়াতে এবং সহজেই সমাধি অবস্থা পেতে। মনে রাখতে হবে, ধ্যান এবং ইতিবাচককরণের সম্মিলিত প্রয়াসেই আমরা আমাদের মধ্যে থেকে ষড়রিপু বা Arisadvargas নির্মূল করতে পারি।
ইতিবাচককরণের অভ্যাস আমাদের মধ্যে সাত্ত্বিকগুণ বাড়িয়ে তোলে, তেমনি ধ্যানের অভ্যাস আমাদের সকল প্রকার গুণের অতীত হতেও সাহায্য করে এবং আমাদের মোক্ষ বা পরম মুক্তির পথে অগ্রসর করে দেয়। সুতরাং, ধ্যান এবং ইতিবাচককরণ একসাথেই অভ্যাস করা উচিত এবং সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। এই দুটি যেন সাধনার দুটি চক্ষু, যা আমাদের আধ্যাত্মিক এবং বস্তুগত সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি সম্পূর্ণতা এবং ভারসাম্যপূর্ণ জীবনদৃষ্টি প্রদান করে।
ইতিবাচককরণের বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে এবং প্রকৃতপক্ষে ইতিবাচককরণের প্রক্রিয়াগুলির কোন সীমা নেই। এখানে বেশ কিছু পরীক্ষিত পদ্ধতির উল্লেখ করা হলো, যেগুলি যে কারোর দ্বারা, যেকোনও সময় এবং যেকোনও স্থানে অনুশীলন করা যায়।
শুভায়ন কেবলমাত্র ইতিবাচক ভাবনা নয়, বরং দৈহিক, মানসিক এবং বৌদ্ধিক প্রতিটি স্তরে ইতিবাচক প্রয়াস নেওয়া। এর মাধ্যমে নেতিবাচক প্রভাবকে দূর করা এবং ইতিবাচক প্রবৃত্তিকে প্রতিস্থাপন করা, দুটি কাজই করা হয়। ইতিবাচককরণের বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে এবং প্রকৃতপক্ষে ইতিবাচককরণের প্রক্রিয়াগুলির কোন সীমা নেই। এখানে বেশ কিছু পরীক্ষিত পদ্ধতির উল্লেখ করা হলো, যেগুলি যে কারোর দ্বারা, যেকোনও সময় এবং যেকোনও স্থানে অনুশীলন করা যায়।
প্রতিটি বিষয় পড়তে এখানে ক্লিক করুন
যম হল আত্ম-সংযমের কিছু শৃঙ্খলা। এ বিশ্বের যেখানে সামাজিক আদান-প্রদান করা হয়, সেই স্থানেই একমাত্র এই অনুশীলনটি করা যায়। এগুলি হল 'বিশ্বজনীন নির্দেশিকা'(Universal Guidelines) এবং এগুলি যে কোন স্থানে, যে কোনো সময় ও যে কোন অবস্থায় অনুশীলন করা যায়। এই পাঁচটি নির্ধারিত যম
অহিংসা বা হিংসা না করা হল, আমাদের চিন্তা, কথা এবং কাজে সম্পূর্ণভাবে হিংসার অনুপস্থিতি। অহিংসা বলতে, নিজের উপরে অথবা অন্যের উপরে কঠোর না হওয়াও বোঝায়।
সত্য বা সত্যবাদিতা বলতে বোঝায় জীবনের যে কোনো অবস্থাতেই সত্য আচরণ করা। সকল রকম মিথ্যাচার পরিহার করাও বোঝায়।
অস্তেয় বা চুরি না করা হল, সকল রকম চুরি অর্থাৎ যে কোন জিনিস চুরি, সম্পর্ক চুরি, জ্ঞান চুরি অথবা কোন ধারণা চুরি ইত্যাদি রকম চুরি থেকে নিজেকে সংযত করে রাখা।
ব্রহ্মচর্য অর্থে ঐশ্বরিক মেলবন্ধনে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখাকে বোঝায়। ব্রহ্মচর্য বলতে, শুদ্ধতা রক্ষা করা এবং যৌন সংযম করাকেও বোঝায়।
অপরিগ্রহ বলতে এমন একটি অবস্থাকে বোঝায়,যে অবস্থায় আমরা লোভ করা থেকে, আধিপত্যমূলক প্রবণতা থেকে এবং গোপনে কিছু মজুদ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখি।
নিয়ম হল ব্যক্তি-নির্ভর নির্দেশিকা।পাঁচটি নির্ধারিত নিয়ম
শৌচ বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিজের ভিতরের অথবা বাইরের উভয় প্রকার পরিশুদ্ধতাকেই বোঝায়। বাইরের পরিশুদ্ধতা বলতে নিজের শরীর ও চারপাশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং ভিতরের পরিশুদ্ধতা বলতে নিজের চিন্তা এবং আবেগকে পরিশুদ্ধ রাখা বোঝায়।
সন্তোষ বলতে, শান্তিপূর্ণ মন এবং পরিতৃপ্তি থেকে পাওয়া আনন্দ ও সুখকে বোঝানো হয়েছে।
তপস্যা হল সুনিবিড় ধ্যান। তপস্যা আভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই হতে পারে। দৈহিক কৃচ্ছ্বসাধনের মাধ্যমে ইন্দ্রিয়গণকে নিয়ন্ত্রণ করাই হল বাহ্যিক তপস্যা।বিশৃঙ্খলার মধ্যেও নিজেকে শান্ত রাখা, অধ্যাবসায় বজায় রাখা এবং ত্যাগ স্বীকার হল আভ্যন্তরীণ তপস্যা। শারীরিক এবং মানসিক তপস্যা একে অন্যকে সাহায্য করে।
স্বধ্যায় বলতে স্ব-শিক্ষাকে বোঝায়। এটি শুধুমাত্র কিছু পবিত্র গ্রন্থ শিক্ষা করাই নয় বরং নিজের আচরণকে সর্ব সময় পর্যবেক্ষণ করা এবং মনের সচেতন ও অবচেতন প্রক্রিয়া এবং আবেগ ও প্রেরণা পর্যবেক্ষণ করাও স্বধ্যায়ের অন্তর্গত।
ঈশ্বরপ্রণিধান হল ঈশ্বর, ঋষি অথবা গুরুর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ। এটি হল, আমরা যে কাজ করেছি, সেই কর্মফলকে ঈশ্বরের আশীর্বাদ হিসেবে সম্পূর্ণভাবে স্বীকার করে নেওয়া।
ক্ষমা করাকে একটি ছোট্ট কাজ বলে মনে হতে পারে, কিন্তু এর মধ্যেই আধ্যাত্মিক জীবনের গোপন সূত্র লুকিয়ে আছে।
ক্ষমা করা এবং ক্ষমাপ্রার্থনা করার মধ্য দিয়ে আমাদের জীবনের অনেক বাধা মুক্ত হয়, আমাদের অন্তরের ক্ষত নিরাময় হয় ও আমাদের রূপান্তরিত করে এবং আমাদের মধ্যে যেসব গভীর আঘাত, রাগ, প্রতারণা এবং দুর্ভোগের যন্ত্রণা সুপ্তভাবে প্রোথিত হয়ে থাকে, তার থেকে আমাদের মুক্তি দেয়।
যারা তোমায় কষ্ট দিয়েছে তাদের সকলকে ক্ষমা করে দাও এবং তোমার মন থেকে তাদের মুক্ত করে দাও।
তাদের সকলের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নাও, জীবনে কখনো যাদের উদ্দেশ্যে তুমি কিছু ভুল করেছো।
তোমার জ্ঞাতসারে অথবা অজ্ঞাতে ঘটে যাওয়া যে-কোনো নেতিবাচক ঘটনা, যা অতীতে ঘটে গিয়েছে, তার জন্য নিজেকে এবং অন্যদের ক্ষমা করে দাও।
এই পদ্ধতি অনুশীলন করার জন্য প্রদত্ত নির্দিষ্ট সময়টি ধ্যানের ঠিক পরের মুহূর্ত, যখন মন একেবারে শান্ত থাকে। নিজেকে ও অন্যকে আশীর্বাদ করো; শুভেচ্ছা জানাও যাতে তারা সকলে সুখে, শান্তিতে এবং সম্প্রীতির সঙ্গে জীবনযাপন করে।
এই অনুশীলন আমাদের মধ্য থেকে বহু বাধাকে দূর করতে সাহায্য করে, সাধক তার সাধনায় এরফলে দ্রুত অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করতে আরম্ভ করবেন এবং জীবনে চিরশুভায়ন (Eternal Positivity) ঘটবে।
দিব্যকরুণার অনন্তধারাকে নিজেদের মাধ্যমে অন্যদের ভিতর প্রবাহিত হতে দেওয়ার প্রক্রিয়াই হল আশীর্বাদ। এটি সর্বাপেক্ষা সহজ ও মহোত্তম একটি কাজ। যখন আমরা একে অন্যেকে আশীর্বাদ করি, তখন আমরা ঈশ্বরের পবিত্রতম একটি যন্ত্রে পরিণত হই।
আমরা এমনকি নিজেকেও আশীর্বাদ করতে পারি। যা আমাদের নেই তা নিয়ে অভিযোগ করার পরিবর্তে , যা আমাদের আছে, সেটুকুকেই আমরা প্রশংসা করতে পারি। যখনই এই ভাবনা আমাদের মন অধিকার করে নেয়, তখন থেকেই আমাদের জীবন পরিবর্তিত হয়ে যায়, আমরা একটি সন্তোষময়, আনন্দিত এবং সমৃদ্ধ জীবনযাপন করতে শুরু করি। যখন আমরা ঈশ্বরের অদৃশ্য হাতের স্পর্শ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যক্ষ করতে আরম্ভ করি, আমরা নিজে থেকেই বিনম্র হয়ে উঠি। সেইসঙ্গে, আমাদের গুরুজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, গুরু এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদ প্রার্থনা করার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে বিনয় ও সমর্পনের ভাব জেগে ওঠে
ধ্যান সমাপ্ত করার পরমুহূর্তে যখন আমাদের মন শান্ত থাকে, সেইসময়ই সকলের প্রতি আশীর্বাদ প্রদান কর্তব্য।
নিজেকে আশীর্বাদ করো এবং অন্যান্যদেরও তোমার আশীর্বাদ প্রদান করো।
নিজেকে ও সকলের প্রতি শুভকামনা জানাও যাতে সকলে দীর্ঘ সমৃদ্ধ জীবন, সুস্বাস্থ্য, জ্ঞান, সুখ এবং শান্তি লাভ করে।
আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের, নিকটজন ও প্রিয়জনদের, সহকর্মীদের এবং আমাদের দেশকে ও বিশ্বনেতৃবর্গকে আশীর্বাদ করতে পারি।
যখন আমরা এই পদ্ধতিটি সর্বান্তকরণে অভ্যাস করি, তখন সমস্ত ক্ষুদ্রতা, দ্বিধাদ্বন্দ্ব, যাবতীয় পার্থক্য একেবারে মুছে যায়। আমরা ঐশ্বরিক সত্তায় রূপান্তরিত হই।
সংকল্প বা সুনিশ্চিতকরণ হল একটি মানসিক ব্যায়াম যা আমাদের আকাঙ্ক্ষাকে শক্তিশালী করে যতক্ষণ পর্যন্ত না সেগুলি বাস্তবায়িত হয়। এটি মনবাঞ্ছাকে বস্তুতে পরিণত করার বৈজ্ঞানিক একটি পদ্ধতি। সাধারণত শক্তিশালী দৃশ্যায়ন প্রক্রিয়াও (Visualisation) সংকল্পের একটি অঙ্গ।
সংকল্প অত্যন্ত শক্তিশালী একটি ইতিবাচককরণের অনুশীলন। যেকোনও নেতিবাচক ভাবনা অথবা অভ্যাস এই অনুশীলনের দ্বারা পরিবর্তিত হতে পারে। এটি আমাদের অবচেতন মনের মধ্যে কাজ করে এবং সেই কারণে ধ্যানের ঠিক পরেই যখন আমাদের মন শান্ত থাকে সেই সময়েই সংকল্পের অনুশীলন করা উচিত।
একজন সাধক সংকল্পের ক্ষমতাকে (সংকল্প শক্তি) কাজে লাগিয়ে আধ্যাত্মিক লক্ষ্য পূরণে ব্রতী হতে পারেন, যেমন সুস্থ শরীর, একটি শান্তিপূর্ণ মন, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তা এবং ক্রমান্বয়ে আত্ম-সাক্ষাৎকার অর্জন করার সংকল্প গ্রহণ করা কর্তব্য।
মননশীলতা হল মুক্ত মনে একাগ্র চিত্তে কোন একটি বিষয় অথবা ভাবনার উপর চিন্তা করা। এর মাধ্যমে নতুন কিছু শেখার জন্য অথবা আরও বেশি করে জ্ঞান আহরণের জন্য আমাদের মন উন্মুক্ত ও প্রসারিত হয়। মননশক্তির বিকাশের দরুন আমাদের মধ্যে নম্রতা জাগে এবং নতুন উদ্ভাবন ও জ্ঞান আহরণের জন্য আমরা নিজেরাই একটি মাধ্যমে (channel) পরিণত হই।
মননশক্তির বিকাশের ফলে আমাদের মনের ক্ষুদ্রতা এবং ভাবনার ক্লিশতা দূর হয়ে যায়। এর মাধ্যমে আমাদের চিত্তে এক সতেজ প্রেক্ষাপট গড়ে ওঠে এবং আমরা যেকোনো বিষয়কে সম্পূর্ণ নতুন প্রেক্ষিতে দেখতে শুরু করি।
আত্মবিশ্লেষণ হলো আমাদের নিজেদের ভাবনা, কথা এবং কাজের প্রতি একজন প্রকৃত সাক্ষী হিসেবে লক্ষ করা, তাকে সংশোধন অথবা পরিমার্জন করার মাধ্যমে নিজেদের উত্তরণকে বজায় রাখা, যতক্ষণ না আমরা আমাদের নিজেদের সম্পূর্ণ ইতিবাচক একটি ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তুলতে পারছি।
আত্মবিশ্লেষণ অত্যন্ত শক্তিশালী একটি ইতিবাচককরণের অনুশীলন, যা ব্যতিরেকে আমরা কখনোই যম-নিয়ম (Yama Niyama) সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারব না অথবা আমাদের নেতিবাচক ষড়রিপুগুলিকে (Arishadvarga) পরিবর্তিত করতে পারব না, ষড়রিপু অর্থাৎ ছয়টি নেতিবাচক প্রবণতাকে বোঝায়।
আত্মবিশ্লেষণ একটি নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। একটি আধ্যাত্মিক রোজনামচায় আমরা প্রতিদিনের প্রচেষ্টার ফলাফলকে লিখে রাখতে পারি, যার মাধ্যমে আমরা নিজেরাই নিজেদের অগ্রগতির উপর নজর রাখতে পারবো। আত্মবিশ্লেষণ আমাদের আধ্যাত্মিক অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করে এবং আত্মসাক্ষাৎকারের লক্ষ্যে আমাদের শরীর, মন এবং বিজ্ঞানময় সত্তাকে এক সরলরেখায় নিয়ে আসে।
সৎসঙ্গ অর্থে ঐশ্বরিক সান্নিধ্য লাভ। এটি অল্প সংখ্যক অথবা বিপুল সংখ্যক মানুষকে নিয়ে হতে পারে।
সৎসঙ্গ অর্থে ঐশ্বরিক সান্নিধ্য লাভ। এটি অল্প সংখ্যক অথবা বিপুল সংখ্যক মানুষকে নিয়ে হতে পারে। সৎসঙ্গের মাধ্যমে আমাদের সাধনা আরও প্রেরণাত্মক হয়ে ওঠে এবং সমবেত-শক্তিপুঞ্জ, সময় ও স্থানগতভাবে একত্রিত হবার সুবিধার কারণে আমাদের আধ্যাত্মিক অগ্রগতিও ত্বরান্বিত হয়। আমরা স্বল্পতম প্রয়াসে সর্বাধিক উপকার অর্জন করতে সমর্থ হই।
আমাদের অনুসরণ করুন
সমস্ত কোটেশন দেখতে ...